বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

শবযাত্রা

বাড়ীতে একটা ফাটল দেখা গিয়েছিল
খুবই সূক্ষ একটা চুলের মত
কেউ পাত্তা দিলনা ব্যাপারটা
কিন্তু ওই ছুঁচ টাই ফাল হয়ে গেল
খুব ধীরে ধীরে ফাটলটা বড় হাঁ এর মত হল
সেই ফাঁক দিয়ে ক্রমাগত বেরোতে থাকল
নোনা ধরা মরচে মাখা পুরনো সম্পর্ক গুলো
বাতাস কেমন ভারী হয়ে গেল
যেন রাস্তা দিয়ে শবযাত্রা চলেছে।
আমাদের গাঁয়ের বাড়ির ধারে
ধানক্ষেত টা ছিল সবুজ চোখ জুড়নো
তাতে ঢেউ তুলে হাওয়ায় দুলতো ধান
ধানক্ষেতের জলে খেলা করত
ল্যাঠা কই চিংড়ি
কালো জলে বুজগুরি কাটত কি সুখে
কে যেন বুদ্ধি দিল ধানের ফলন বাড়াতে
ক্ষেতে ছড়ানও হল বিষ
তারপর জল নেই তাই মাছ নেই
ধানের বুক রোদে শুকনো সেখানে দুধ নেই
ইঁদুরের গর্ত বেমালুম ফাঁকা
সেখানেও শোক
গর্তে হাত ঢুকিয়ে লাভ হলনা
বুনিদের বাহাদুর দের
আবার শবযাত্রা
একজনকে মারতে কতজন মরে গেল।

শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

এই ভাদ্রের দিনে

 ধবনি আর ব্যঞ্জনায় ভেসে যাচ্ছে
ভাদ্রের দিন গুলো
আকাশের আলো মুখ চাপা দিয়ে দিল
কালো কালো হরফ
জলজ টিং টাং সুর
ছেয়ে গেল আনাচে  কানাচে
এভাবেই ভিজে গেল গোলাপি বরষাতি
ধুয়ে গেল সদ্য সারানো পীচ পথ
ভেসে গেল নোংরা ফুটপাত
যেখানে গত কয়েকদিন ধরে সংসার পেতেছিল
একদল উৎখাতি মানুষেরা
যাদের গ্রাম হয়ে উঠেছিল
এই অদ্ভুত শহর টি।

মায়ের ছুটি

ছোট থেকেই দেখছি মা গো নেই তো তোমার ছুটি শীত গ্রীষ্ম  সকাল বিকাল কাজ যায় ঠিক  জুটি মুখের কোনে চিলতে হাসি লেগেই আছে যেন কাজ করতেও  এত খুশী দেখ...