ইষ্টিশনের নাক বরাবর যে রাস্তাটা
সোজা ফেরিঘাটে নেমে গেছে
সেই রাস্তার ধারেই কেওড়াপাড়া
ওখানেই ও থাকে
রাস্তার ধারের বড় বাড়িগুলোর পেছনে খাপরার চাল
সারি সারি ঘর গুলো দালান গুলর পিছনে লুকিয়ে আছে
সকালের আলো এসে ডাক দিলে ঘুম ভাঙ্গে
মা এক সানকি ভাত দিলে
চেটে পুটে খেয়ে বেরিয়ে পড়ে বিজু
পরনে ঢল ঢলে জামা নাকে সিকনি হাতে ছড়ি
মুখে হেট হেট কুরর চল চল শব্দ
সেই শব্দ শুনে শোভাযাত্রার মত এগিয়ে চলে
থলথলে পেট পাকানো ন্যাজ আর ছুঁচলো মুখ ওলা জন্তুগুলো
গায়ে কালকের শুকনো কাদা সাদা হয়ে ফুটে আছে
অবিরত খাল পাড়ের কাদায় কি খুঁজে চলেছে মুখ ডুবিয়ে
ছোট ছোট
পায়ে খুট খুট করে এগোয়
যেতে যেতে সেই গঙ্গার পাড়
সেখানে কাদা ময়লা খুঁচে খায় আনন্দে ডাক দেয়
ওখানে বিজুর মত আরও কয়েকটা বিজু জুটে যায়
ওরা দিনভর জন্তু গুলোর মতই খেলা করে দোল খায় গাছের
ঝুরি ধরে
কখনও ঝগড়া করে মারপিট করে
আবার ভাব হলে কোঁচড় ভরে আনা চিঁড়ে মুড়ি খায়
চেয়ে থাকে গঙ্গার ওপারে সুজ্যি ডোবার আশায়
তবেই তো ঘরে যাবে এক সানকি ভাত খেয়ে খুব ঘুম পাবে
আর তখনই তো দেখতে পাবে কত সুন্দর সুন্দর স্বপ্ন।