মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৬

করো বিভাজন

এঁকে দিল বিভাজন রেখা
তির তিরে নদী আর উড়ন্ত পতাকা
পরস্পরের বিপরীতে জড় হওয়া
কিছু একই প্রজাতির প্রাণী
চুল বুল করে ,ভালবাসা দেখায়
সুখ সুখ নেশা চোখে মাখে
আর দূরে চলে যায়,
 আমার আগুনেই সেঁকে নিত ওরা
 প্রতিদিনের খিদের রুটি
এখন পেট ভরা খাবারে,
চোখে গড়াচ্ছে ঈর্ষা,
নখে রক্ত,আর দাঁতে মাংসের টুকরো।

রবিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৬

মরণ

চন্দনের রেখায় লেখা মৃত্যুদণ্ড
আশৈশব যত্নে রাখা ললাটে।
কখনও আগুনের বিন্দু হও
কখনও ওড়নার আদরে
গিঁট দিয়ে থামাও নিঃশ্বাস।
মাংস মজ্জা বিশ্বাস সব খাও
স্থবির সম্পর্ক শুষে নিচ্ছে সময়
শূন্য করে দিচ্ছে জীবন
জীবন কে পরাজিত করে
মরণ আসছে  তাড়াতাড়ি।

বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৬

ব্যক্তিগত

গাঢ় আশ্লেষে
ছুঁয়েছিল ঠোঁট
নরম জলমাখা কমলার ঘ্রাণ
মাখামাখি হল দুই প্রান্তে
তবু চুমু হলনা।
দেহগাত্রে ওতপ্রোত ভাবে আঁকড়ে ধরা
মরচে পড়া আংটা
কুয়োর পুরনো শ্যাওলা
আর দেওয়ালের গোল সময়
সবই জীবাশ্ম হয়ে গেছে।
জীবাশ্মের শীৎকার ওঠেনা
অন্ধকার নেমে এলেও,
অন্ধকারে লুকিয়ে আঁকো
ভালবাসার দাগ।
দাগ দিয়ে সীমানা বোঝাতে
কতটা নিচু হতে হয়?
এই সব কথায় সম্মান চলে যেতে পারে
কারণ এগুলো একান্ত ব্যক্তিগত।

মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৬

বোধ

এই শরীর একদিন
পুরোনো কাগজ হবে
কুঁচকিয়ে যাবে নিয়মিত ব্যবহারে।
শ্লেষ্মা জড়াবে গলায়
বুকের হাওয়া যাবে কমে
হাপরের মত দম নিতে নিতে
বুঝবে, হাওয়া কত দামী। 

মায়ের ছুটি

ছোট থেকেই দেখছি মা গো নেই তো তোমার ছুটি শীত গ্রীষ্ম  সকাল বিকাল কাজ যায় ঠিক  জুটি মুখের কোনে চিলতে হাসি লেগেই আছে যেন কাজ করতেও  এত খুশী দেখ...