বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৬

মুখ

আরশিতে মুখ দেখো,
আগ্রাসী জীবন যাপনে গজিয়ে ওঠা
এক মনুষ্যত্বহীন মুখাবয়ব।
হৃদয় ঢেকেছ তাড়নায়
লালারসে ভিজিয়ে নিচ্ছ ক্রমেই
খাদ্যদ্রব্য আর পারিপার্শ্বিক
তোমার কাছে এ সবই একজাতীয়।
সম্পর্কের গা থেকে,
চেটে নিচ্ছ বেঁচে থাকা
আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছো
নির্ভীক পরজীবী হয়ে
মানুষের অবয়বে নিখুঁত অমানুষ।
অবিশ্বাস হলে,
আয়নায় মুখ দেখো।

রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৬

স্বর্গ

তুমি আর আমি
একসাথে হলে
ঈশ্বর নেমে আসে।
তখন ভালবেসে উড়িয়ে দিই
সাদা পারাবত,
নদীর সহ্য আর নম্রতাও
শিখে যাই একদিন
তার কাঁচ জলে
প্রতিবিম্বিত হতে হতে
পাহাড় হয়ে যাই,
এখানে গাছ গুলো রমণী হয়েছে
মানুষ মানুষ কে ছোট করতে করতে
বিন্দু বানিয়ে ফেলেছে
এখনই সময়
এসো আমরা একত্রে
এই ভূপৃষ্ঠে স্বর্গ নামাই।

বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৬

ক্ষমা

আঘাত দিও না,
চামড়ার যে অংশে
ক্ষত হয়ে গেছে
রক্তবিন্দুর অনুতাপ আছে শুধু
অঙ্গুলি নির্দেশে বিদ্ধ করতে
একটু কম্পন হোক।
বরং তার ওপর করুণার
বৃষ্টি ধারা হও
ক্ষমা হয়ে ছোঁও তাকে
আর দেখ ক্ষমার কি শক্তি।

বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৬

নতুন জগত

নিজস্ব পৃথিবীতে
শুধু চোখ আর আঙ্গুল সঞ্চালনে
শীতলপাটি বুনে চলেছি
পিঁঁপড়ে লাগা রুটির থালা
অচল টাকার মত পড়ে আছে
সূর্য ঘুরে সন্ধ্যে নামাচ্ছে
পাশের বাড়ির ডুমুর গাছে
একটা শালিক ভয়ে মরে যাচ্ছে

সম্পর্ক সহমর্মিতা সমবেদনা
সব জমা হচ্ছে নতুন ঠিকানায়
আমার নতুন জগতে।

মায়ের ছুটি

ছোট থেকেই দেখছি মা গো নেই তো তোমার ছুটি শীত গ্রীষ্ম  সকাল বিকাল কাজ যায় ঠিক  জুটি মুখের কোনে চিলতে হাসি লেগেই আছে যেন কাজ করতেও  এত খুশী দেখ...