দায়বদ্ধ

জলে ভাসা পদ্মের মত নাভি থেকে
শুষে নিই জীবন আর খাদ্য
 অবিচ্ছেদ্য অঙ্গের জলীয় বসবাসে
 পার করে দিই দশদিন দশ মাস
 বুদ্ধের মত ধ্যানমগ্ন হয়ে।

 অবিচল লক্ষ্যে পৌঁছতে
 শরীরের ভেতরে শরীরের চলনে
 অনুভবের অনুভব হয়
 পুষ্টির লালারসে ঠোঁট ভিজে যায়
 বাক্য ভিজে যায়,ভিজে যায় কান্না ও
  নাড়ি ছিঁড়ে ,নাড়ীর প্রতি দায়বদ্ধ হই ।

জানোয়ারj

কর্কশ ভাষার অনর্গল উদ্গারে

মানুষ যখন জানোয়ারের থেকেও বেশী..........

ধৈর্য্য পোড়ে চোখের আগুনে

লেলিহান জিহ্বায় সেই প্রথম প্রতিবাদ শুরু।

বিপরীত এই সপাট ধাক্কা

আদ্যন্ত নুইয়ে দিল

মেরুদন্ডের ঝুঁটি 

শুধু নির্বাক গাছ ,পাথর হয়েগেল

আর যারা উপভোগ করছিল

তারা রওনা দিল গন্তব্যে ।

পুরস্কার

           তুমি সহিষ্ণু ছিলে বরাবরই
            তাই পুরস্কার দিলাম।
            আখের নিংড়ানো জীবনে জল থাকেনা
            জল ছাড়া পাঁক হয় কি করে?
            তাই পদ্মফুল হতে চেয়ে 
             জল খুজি, পাঁক খুঁজি
             আর খুশী হয়ে পুরস্কৃত করি
             প্রানভরে।   

মই

আকাশ কে ভেদ করে চলে গেছে

যে ভালবাসা

তাকে আর খুঁজো না।

বরং সময়ক্ষেপে স্বউড়ান  জারি থাক ।

উঁচুতে উঠতে একটা মই লেগেছিল

আরও ওঠা বাকি,

এখন ওঠাটা অনেক দামী

মই টার কোন দাম নেই।

লোভ ,হিংসা আর মৃত্যু

লোভ ঢুকে পড়েছে

গাছের শিরায়, ছালে

খসে পড়েছে পলেস্তারা,বাকল 

অস্থি মজ্জায় ঢুকে পড়েছে হিংসা

অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় মিশে যাচ্ছে তারা । 

ঠোঁটজোড়া উন্মোচিত করে

দাঁতের সারি কামড় বসাচ্ছে

বনস্পতির ডালে, পাতায়,

পাতায় স্বাক্ষর আছে তার ।

অন্ধকারে মিশে যাচ্ছে

জলমাটি ,জীবন।

ধীর বিষক্রিয়ায়

ক্ষয়িষ্ণু সম্পর্কের ইতি।

পুনর্জন্ম

আচমকাই শুরু

অতীত রোমন্থন ।

সময়ের গর্ভ তোলপাড় করে

উপছে আসে বাঁধভাঙ্গা জোয়ার ।

বিস্মৃতপ্রায় জন্ম-শিকড় ,

মৃত ইচ্ছা অনিচ্ছা,

ধূসর কৈশোর ।

শরীর খুঁজে  পায়

স্নেহসিক্ত স্পর্শের নির্যাস ,

পুনর্জন্ম লাভ এভাবেই।

দুচোখের ভালবাসা স্রোত

মুছিয়ে দেয় সব ক্ষত ,

আরও একবার জন্মগ্রহন করি।

পুনর্নির্মিত হই।

অন্য খান্ডবদাহন

আর একটা খাণ্ডবদাহন

অযাচিতভাবে অতর্কিতে ,

দগ্ধে ছারখার বন, বনস্পতি ,

এক উদর সহবাসীরা ছত্রখান ।

লেলিহান শিখায়

ঈর্ষার চকমকি ,

সবুজ চোখের নীল নিঃশ্বাস 

সন্তর্পণে সাঙ্গ করল স্মৃতি।

কোন রোগের উপশম করতে

এই অবাঞ্ছিত খাণ্ডবদাহন ?

আমার ঈশ্বর

ঔরসজাত সন্তান কে ছেড়ে
ফিরে গেছে ঈশ্বর
একটা তারা হয়ে
আকাশের গায়।
হৃৎপিন্ড ছিঁড়ে দিয়েছি তাকে,
যাওয়ার ছাড়পত্র্র।
ফিরে গেছে  ঈশ্বর
অন্তিম কষ্টের স্বাক্ষর নিয়েে।
পৃথিবীর সব দেনা চুকিয়ে
ফিরে গেছে ঈশ্বর ,
বলে গেছে --আসি নয় ,যাই
আর ফিরে আসবেনা বলে।